স্বাধীনতা দিনে বিশেষ করে অনেক রকম আলোচনা ওঠে দেশপ্রেম জাতীয়তাবাদ মানবতাবাদ নিয়ে। গুণীরা অনেক বুঝিয়েছেন, তাঁদের প্রণাম জানাই। তর্কও অনেকে করেছেন, তাঁদের উৎসাহকে কুর্নিশ জানাই। শেষে নিজে কী যে বুঝলাম তার একটা সংক্ষেপসার নিজেকে বলতে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে, কারণ পথের শেষ আর বিরাট দূরে মনে হয়না। নিজের সে বোধটুক বন্ধুবাসরে বলাও যেতে পারে বুঝিবা। সমর্থনের খোঁজেও নয় তর্কের আবাহনেও নয় শুধুই মনের কথা বলবার তাগিদে।
দেশপ্রেম যেন নিজের বাড়ী গোছানো। পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্ক, কাজের ভাগাভাগি দায়িত্বের স্বেচ্ছাবরণ আর আনন্দের পরিবেশ আর পরিচ্ছন্ন করে ঘর সাজানো। তবেই না সেই ঘরে ডেকে এনে আপ্যায়ণ করা যাবে বিশ্বমানবতাকে। অগোছালো ঝগড়াপ্রবণ পরিবারে কী আর অতিথি আপ্যায়ন হয়। আর জাতীয়তা কে বুঝি সেই দেশপ্রেম এর এক সংগঠিত সংস্করণ হিসেবে, যা তুলে ধরবে দেশের এক পরিষ্কার পরিচয় আর উজ্জ্বল মনোবৃত্তি যা গঠনমূলক, বন্ধুভাবাপন্ন, অনাগ্রাসী আর বিশ্বমেলায় নিজের পসরা সসম্মানে সাজিয়ে চমত্কার বিকিকিনি করে দিনের শেষে নিজের পছন্দের সবকিছু কিনে, সবাইকে নিজের বাড়ীতে নেমন্তন্ন করে হেসেগেয়ে বাড়ী ফিরতে পারে।
দেশপ্রেম কে হেলা করতে পারবোই না কারণ কানে সর্বদাই বাজে "ও আমার দেশের মাটি", জাতীয়তাকে সরিয়ে রাখতে পারবোই না কারণ ভারতভাগ্যবিধাতার বন্দন শুনলেই সটান দাঁড়িয়ে পড়ি কিনা, আর পরিবার থেকে প্রতিবেশ হয়ে দেশ হয়ে জাতীয় গর্ব নিয়ে মাথা উঁচু করে বিশ্বমেলায় যাবো "মোরে ডাকি লয়ে যাও মুক্তদ্বারে তোমার বিশ্বের সভাতে " গাইতে গাইতে। এমনি করেই আশা রাখি হয়তো কোনোদিন মিলিয়ে যাবে দুনিয়াঘেরা টুকরোকরা সব বেড়ার বাঁধন আর সফল হবে মানবতার বিশ্বসাধন। সবাই এগিয়ে এলে অবশ্য। জয় হিন্দ !!
Comments