খাঁটি গম্ভীর কথা বেশ কিছু হলো একটু চ্যাপলিনসুলভ কথা বলি। স্বাধীনতার স্বাদহীনতা টের পেতাম প্রত্যন্ত মফস্সলের অত্যন্ত গরীব আবাদে, যেখানে জড়ো হয়েছিল মূলহীন উৎখাত বাঙালদের এক দুঃখী জেদী পরিশ্রমী দঙ্গল, কী অবিশ্বাস্য জাদুবলে তারা এক জীবনেই অজানা জমিতে ফিরিয়ে এনেছিল কপর্দকশূন্যতা থেকে সদর্থক পূর্ণতা। সে অবশ্য এক আলাদা গল্প। স্বাধীনতা দিবস এর সক্কালে পাড়ার প্রবীণ মহাদেব বণিক মশাই সোডাকাচা খেঁটো ধুতিটা মালকোঁচা মেরে আর নীল কামিজ অঙ্গে দিয়ে ঘরে-বানানো এক পতাকা হাতে আগে আগে চলতেন আর হাঁক পাড়তেন - "ন্যাতাজী সুবাস-" আর আমরা সমস্বরে কিচিরমিচির শিরফুলিয়ে বলতাম - " ফিরে এস !!! " এখানে একটা ব্যাপার ছিল। বরিশালী বাচ্ছারা বলতো " ফির্গীয়া আও" , ঢাকাইয়ারা " ফিরা আসো", যশুরেরা "ফিরররিয়ে আস্যও" আরো ইত্যাদি ইত্যাদি বিবিধ বিচিত্র। সে ক্যাচাল শুনে মহা রেগে মহাদেব জ্যেঠু বার বার প্রাণ ঢেলে আমাদের শেখাতেন "ওরে হারামজাদারা আমি জ্যামনি কমু ""ন্যাতাজী সুবাস -" , তরা ত্যামনি একলগে এক সুরে তালে চিকরাবি "ফিরা আহ" , বু...
Posts
Showing posts from August, 2017
- Get link
- X
- Other Apps
স্বাধীনতা দিনে বিশেষ করে অনেক রকম আলোচনা ওঠে দেশপ্রেম জাতীয়তাবাদ মানবতাবাদ নিয়ে। গুণীরা অনেক বুঝিয়েছেন, তাঁদের প্রণাম জানাই। তর্কও অনেকে করেছেন, তাঁদের উৎসাহকে কুর্নিশ জানাই। শেষে নিজে কী যে বুঝলাম তার একটা সংক্ষেপসার নিজেকে বলতে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে, কারণ পথের শেষ আর বিরাট দূরে মনে হয়না। নিজের সে বোধটুক বন্ধুবাসরে বলাও যেতে পারে বুঝিবা। সমর্থনের খোঁজেও নয় তর্কের আবাহনেও নয় শুধুই মনের কথা বলবার তাগিদে। দেশপ্রেম যেন নিজের বাড়ী গোছানো। পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্ক, কাজের ভাগাভাগি দায়িত্বের স্বেচ্ছাবরণ আর আনন্দের পরিবেশ আর পরিচ্ছন্ন করে ঘর সাজানো। তবেই না সেই ঘরে ডেকে এনে আপ্যায়ণ করা যাবে বিশ্বমানবতাকে। অগোছালো ঝগড়াপ্রবণ পরিবারে কী আর অতিথি আপ্যায়ন হয়। আর জাতীয়তা কে বুঝি সেই দেশপ্রেম এর এক সংগঠিত সংস্করণ হিসেবে, যা তুলে ধরবে দেশের এক পরিষ্কার পরিচয় আর উজ্জ্বল মনোবৃত্তি যা গঠনমূলক, বন্ধুভাবাপন্ন, অনাগ্রাসী আর বিশ্বমেলায় নিজের পসরা সসম্মানে সাজিয়ে চমত্কার বিকিকিনি করে দিনের শেষে নিজের পছন্দের সবকিছু কিনে, সবাইকে নিজের বাড়ীতে নেমন্তন্ন করে হেসেগেয়ে বাড়ী ফিরতে পারে। দেশপ্রেম কে হেলা...